সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না, অন্ধজনে দাও আলো

 



বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয় না, অন্ধজনে দাও আলো

----------------------------------------------------------------------------
আজ ২৬ অক্টোবর বিকাল ৪ টায় বরুড়ার বড়হরিপুর বাজারে জনৈক বই বিক্রেতা বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন, কিন্তু বই ক্রেতার খুব ই অভাব। এই অলস সময়টায় নিজেই নিজের বই পড়ে কাটিয়ে দিচ্ছেন।
করোনার কারণে দীর্ঘ দিন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ। ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নেই তেমন লেখাপড়া চাপ। অনেক গার্ডিয়ান দুঃখ করে বলে যে আমার সন্তান একেবারে লেখাপড়া করে না, সারাদিন বাহিরে বাহিরে ঘুরে বেড়ায়, সারাদিন মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকে অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় দিয়ে দিন কেটে দেয়।
করোনা আগে অনেক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেখা গেছে সকাল ৬টা হতে প্রাইভেট, তারপরে স্কুল, স্কুলের পরে আবার রাত ৯/১০ টা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়ে থাকে। ছাত্রদের এই ব্যস্ততার কারণেই অনেক ছাত্র-ছাত্রী আরবি শিখতে পারেনি।
যারা সন্তানদেরকে আরবি শিখাতে পারেননি এ সময়টায় আরবিতে পারদর্শী (হউক পুরুষ বা মহিলা) কারো বাসায় পাঠিয়ে কিংবা আপনার বাসায় এনে আরবি শিখিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনার ও আপনার সন্তানের ইহকাল ও পরকাল মঙ্গল হবে।
আর যাদের সন্তানদের আরবি পড়তে কোন অসুবিধা নেই তারা অন্ততপক্ষে করোনা পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদেরকে ধর্মীয় বই, গল্প-কবিতা, উপন্যাস, কৌতুক চিত্তবিনোদন মূলক বই কিনে দিতে পারেন।
বই নিজে পড়ুন, সন্তানদেরকে বই কিনে দিন এবং বই পড়তে উৎসাহিত করুন। তাহলে নিজেদের জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি যারা বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসে আছে তাদেরও বই বিক্রি করে অন্ততপক্ষে চাল-ডালের ব্যবস্থা হবে।
মনে রাখতে হবে বই কিনে কেউ দেউলিয়া হয়না।

Post a Comment

1 Comments